১৮০ নারীকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান ডিএসসিসির
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৮০ জন নারীকে ১০ হাজার টাকা করে ব্যবসায়িক অনুদান দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ডেমরার রানীমহল মিলনায়তনে এ প্রকল্পের আওতায় ব্যবসায়িক মঞ্জুরি বিতরণ অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এ অনুদান তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাপস বলেন, ‘যাদের প্রকৃত প্রাপ্যতা আছে শুধু তারাই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হবেন, অন্য কেউ নয়। আমি যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করি তখন দেখলাম, প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মধ্যে অনেকেই ঢাকাবাসী ছিলেন না। তাই ঢাকাবাসী নয় এবং ঢাকার ভোটার নয় এমন অনেককেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ প্রকৃত প্রাপ্যতা যাদের রয়েছে, শুধু তাদেরই প্রকল্পের উপকারভোগী হিসেবে দেখতে চাই। সেটি নিশ্চিত করতে এ কার্যক্রমে আমরা কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ত করেছি।’
প্রকল্পের একটি পয়সাও যেন ঢাকার বাইরে যেতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে তাপস বলেন, ‘যারা গ্রামে বা অন্যান্য শহরে বসবাস করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্য আরও প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নয়ন করে চলেছেন। কিন্তু ঢাকায় বসবাসরত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে শুধু এ একটিই প্রকল্প। তাই ঢাকাবাসী যারা ঢাকার ভোটার শুধু তাদের জন্যই এ প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে রূপরেখা দেন তা বাস্তবায়ন করেন উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প-২০২১ দিয়েছেন, রূপকল্পের আলোকে তিনি তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের রূপকল্প-২০৪১ দিয়েছেন। সেই রূপকল্পের আওতায় আমরা এগিয়ে চলেছি। রূপকল্পের আওতায় আমরা যে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে চলেছি, তারই আলোরক উন্নত বাংলাদেশের উন্নত রাজধানী বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
অনুষ্ঠানে ৬৭, ৬৮ ও ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১৮০ জন নারীর প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ১৮ লাখ টাকা ব্যবসায়িক অনুদান বিতরণ করা হয়। এর আগে মেয়র শেখ তাপস সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শাহবাগের ফুল মার্কেট, বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির থেকে কালীবাড়ি পর্যন্ত সংযোগ সড়ক, নন্দীপাড়া-কদমতলা খাল পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, এলআইইউপিসি প্রকল্পের নগর ব্যবস্থাপক সোহেল ইকবাল উপস্থিত ছিলেন। জানি