অবশেষে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের তিন মাস পর ধর্ষক বিয়ে করলো ধর্ষিতাকে। দেন মোহরানা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। বিয়ের সময় দেন মোহরানা নগদ পরিশোধ করা হয়েছে দেড় হাজার টাকা।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ফতেখাঁ গ্রামে কনের বাড়িতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) সাইফুল ইসলাম এই বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিয়েতে দু’পক্ষের অভিভাবকরা ছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দি, ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন্দ্র নাথ কর্মকার, পার্শ্ববর্তী দলদলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান মুন্সী ও জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
রাজারহাট থানায় ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের ফতেখাঁ গ্রামের অধিবাসী ও ফতেখাঁ কারামতিয়া দাখিল মাদরাসার এক দাখিল পরীক্ষার্থীর সঙ্গে উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কর্পূরা গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র সেফারুল ইসলামের পরিচয় হওয়ার পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই সুযোগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে এবং পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় সেফারুল ইসলাম।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্ষণের শিকার ওই পরীক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে সেফারুল ইসলামসহ কয়েকজনকে আসামি করে চলতি বছরের ১৯ মে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এখন উভয়পক্ষের সম্মতিতে দু’জনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের পর বর তার নববধূকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজু সরকার জানান, উভয়পক্ষ সমঝোতার ভিত্তিতে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন শুনেছি। আর মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ফলে মামলার পরবর্তী ব্যবস্থা আদালতের আদেশ অনুযায়ী হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..