দিনাজপুর প্রেস ক্লাব (নীমতলা) নির্বাচন ২০২২-২৩ ত্রুটিযুক্ত ১০টি ব্যালট বাতিল করে পুনরায় গণনা এবং নির্বাহী কমিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা মামলায় চারজনকে শোকজ করেছেন আদালত। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দিনাজপুর সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. লুৎফর রহমান এ আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের (নীমতলা) দ্বি-বার্ষিক (২০২২-২৩) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ৩৯ জন ভোটারের মধ্যে ৩৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ১০টি ব্যালটে বিভিন্ন চিহ্ন ব্যবহার করায় বাতিলের জন্য আলাদা করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
ত্রুটিমুক্ত ২৮টি ব্যালট গণনায় দুলাল-ফারুক প্যানেল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। এ সময় বিপরীত প্যানেলের প্রার্থীরা উত্তেজিত হয়ে বাতিল হওয়া ১০টি ব্যালটও গণনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এ নিয়ে হট্টগোলও বেধে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
এক পর্যায়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তাদের বাতিলকৃত ১০টি ব্যালট গণনা করে ওই প্যানেলের সিংহভাগ সদস্যকে বিজয়ী ঘোষণা করে। বৈধ-অবৈধ ব্যালট পেপার গণনার পরও সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মাসুদ রানা ও সুলতান মাহমুদ সমান সংখ্যক ভোট পান। এরপর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হাসনে ইমাম নয়ন সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. মাসুদ রানার কোনো সম্মতি না নিয়েই তার অনুপস্থিতিতে পয়সা ছুড়ে লটারি করেন। সেই লটারিতে প্রথমে মাসুদ রানা বিজয়ী হন। পরে এ লটারি হয়নি বলে আবার পয়সা ছুড়ে সুলতান মাহমুদকে জোরপূর্বক বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর ভোট পুনরায় গণনার আবেদন নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়া হয়। তিনি তা নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে সেই আবেদন ডাক বিভাগের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে পাঠানো হলেও তিনি গ্রহণ করেননি।
এ পরিস্থিতিতে মো. ফারুক হোসেন, মো. মাসুদ রানা, এটিএম কামরুজ্জামান ও মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিনাজপুর সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে রেজাউল করিম রঞ্জু, সুলতান মাহমুদ, এ.এইচ বাবলু ও আবু সাঈদ বিপ্লবকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত সত্ত্বার তলবানা দাখিল করারও নির্দেশ দিয়েছেন।