জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ চালুর পর থেকে চার বছরে ফোনে সাড়া দিয়ে এক হাজার ৪৯২টি আত্মহত্যা ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। একই সময়ে ফোনে সাড়া দিয়ে এক হাজার ১৩৫টি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা সবাই আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে আত্মহত্যার বিষয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানান ৯৯৯-এর অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক তবারক উল্লাহ।
তিনি জানান, ২০১৭ সালে চালু হওয়া জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ বর্তমানে প্রায় ৫০০ জনবল নিয়ে কাজ করছে। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯৯৯-এ প্রায় সাড়ে তিন কোটি কল এসেছে। এরমধ্যে এক কোটি ১৫ লাখ ফোন কলের সেবা দেওয়া হয়েছে, যা মোট কলের ৩৩ শতাংশ। এরমধ্যে ৭৮ ভাগ পুলিশি সেবা, ৯ ভাগ ফায়ার সার্ভিস এবং ১১ ভাগ অ্যাম্বুলেন্স সংক্রান্ত সেবা।
অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক তবারক উল্লাহ বলেন, ৯৯৯-এর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারির পর্যন্ত এক হাজার ৪৯২টি আত্মহত্যা নিয়ে ফোন কল এসেছে, যা আমরা প্রতিরোধ করতে পেরেছি। তবে কয়েকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর বাইরে আত্মহত্যার ফোন পেয়ে এক হাজার ১৩৫টি আত্মহত্যাজনিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
৯৯৯-এর এ কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অটো কলার লোকেশন না থাকায় অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। কলারের লোকেশন আমরা যত দ্রুত পেয়ে যাবো, তত দ্রুত যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে। ৯৯৯-এ অটো কলার লোকেশন যুক্ত করতে কাজ চলছে।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নেজাম উদ্দিন আহমেদ, ফিজিশিয়ান, কাউন্সিলর এবং সাইকোথেরাপি প্রাকটিশনার ফোনিক্স ওয়েলনেস সেন্টারের প্রফেশ্বর ড. সানজিদা শাহরিয়া, ড. আহসান উদ্দীন আহমদ, ইশরাত জাহান বিথী, অরুপ দাস ও তারেক মিয়াজি।