চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় এক বিচারকের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার রানা মর্তুজা (৪৫) ও আবদুর রহিমের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া মাসুকা সুলতানা (৪০) ও জিবান সুলতানার (২৮) রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব এসব আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটকে মারধরের ঘটনার মামলায় রানা মর্তুজার পাঁচদিন ও তার গাড়িচালক আবদুর রহিমকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া রানা মর্তুজার দুই বোনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রানা মর্তুজা বেলজিয়াম শাখা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। কয়েকদিন আগে তিনি বাংলাদেশে আসেন। চট্টগ্রামে তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জিইসি মোড়ের একটি দোকানে কফি পান করে বের হন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অলি উল্লাহ। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ইফফাত মৃধা আরিফা। তারা জিইসি মোড় থেকে ওআর নিজাম রোড ধরে গোলপাহাড় মোড়ের দিকে হাঁটছিলেন। এসময় পেছন থেকে একটি সাদা গাড়ি হর্ন দিতে থাকে।
পরে গাড়িটি অলি উল্লাহকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। তিনি এর প্রতিবাদ করলে গাড়ি থেকে রানা মর্তুজাসহ পাঁচজন নেমে আসেন। তারা অলি উল্লাহকে ইঙ্গিত করে বলতে থাকেন- ‘প্রেমিকা নিয়ে ঘুরতে আসছিস, আবার কথা বলছস।’
তখন অলি উল্লাহ বলেন, সঙ্গে থাকা নারী আমার স্ত্রী, প্রেমিকা নন। নিজের পরিচয়ও দেন তিনি। পরে তারা বলেন, ‘কীসের ম্যাজিস্ট্রেট তুই? তুই ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট।’ এই কথার প্রতিবাদ করতেই রানা মর্তুজার নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ ও তার স্ত্রীর ওপর হামলা করেন আসামিরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ম্যাজিস্ট্রেট দম্পতিকে উদ্ধার ও চার আসামিকে গ্রেফতার করে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আরফাতুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।