মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার বাসিন্দা সোহেল রানা। পৌর শহরের হাসপাতাল বাজারে নুর মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তির দোকান ভাড়া নিয়ে তিনি লেপ-তোশকের ব্যবসা করেন। দোকানের বাণিজ্যিক মিটারে সব সময় ৫০০ টাকার নিচে বিল আসে। তবে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের বিল এসেছে ৫০ হাজার ২৪২ টাকা। বিরাট অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
সোহেল রানা বলেন, প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল আসে ৩০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা। হঠাৎ ৫০ হাজার ২৪২ টাকা বিদ্যুৎ বিল দেখে অবাক হয়েছি। মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের গাংনী জোনাল অফিসের ডিজিএমের সঙ্গে দেখা করি। তিনি বলেছেন, সংযোগের মূল মালিককে যোগাযোগ করতে।
দোকানের মালিক নুর মোহাম্মদ বলেন, ২০১৩ সালে মিটারটি আবাসিক হিসেবে নেওয়া হয়। ওই বছরই আবার সেটি মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সংযোগে রূপান্তরিত করি। সেভাবেই প্রতি মাসে বিল দিয়ে আসা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ ৫০ হাজার ২৪২ টাকা বিল আসে। অথচ ডিসেম্বরেও বিদ্যুৎ বিল ছিল ৩৬০ এবং জানুয়ারিতে ছিল ৪১৬ টাকা।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের গাংনী জোনাল অফিসের ডিজিএম আবুল কাশেম বলেন, গ্রাহকের সংযোগটি ২০১৩ সালে নেওয়া। তখন সংযোগটি আবাসিক সংযোগ ছিল। পরে ওই বছরই বাণিজ্যিক হওয়ায় ঢাকার অডিট আপত্তি- জরিমানা/ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪৯ হাজার ১৭৬ টাকা এবং বাণিজ্যিক বিল হিসেবে প্রতি ইউনিটে ১০ টাকা ৩০ পয়সা দাম ধরে ৫০ হাজার ২৪২ টাকা এসেছে।
বাণিজ্যিক সংযোগ নেওয়ার পর বিদ্যুৎ বিলের দাম ১০ টাকা ৩০ পয়সা ছিল কি না এবং এতদিন গ্রাহক বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করে আসলে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কী ভূমিকা রেখেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।