ফেসবুক আইডির নাম ‘রবিনসন হ্যানরি’। এই আইডি থেকে কথা চলে এক নারীর সঙ্গে। এক সময় রবিনসন হ্যানরি থেকে বলা হয়, মূল্যবান সামগ্রীসহ একটি পার্সেল তাকে পাঠাবে।
পরবর্তীতে বিন কারলোরস পরিচয়ে এক ব্যক্তি ওই নারীর মোবাইলে কল দেন। তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চাকরি করেন বলে জানান। এসময়- ওই নারীকে তিনি বলেন, আপনার নামে একটি বক্স বিদেশ থেকে এসেছে। কিন্তু ওই বক্স ছাড়িয়ে নিতে খরচ দিতে হবে। যদি খরচ দেওয়া হয়, তাহলে বক্সটি এয়ারপোর্ট থেকে ছাড়িয়ে বাসায় পৌঁছে দেবে।
বিন কারলোরস এটাও জানান, তিনি স্ক্যান করে দেখেন যে, বক্সের ভেতর বেশকিছু পাউন্ড ও একটি সোনার চেইনসহ মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে। আর এভাবেই প্রতারণা করে ওই নারীর কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।
প্রতারণার অভিযোগে এরই মধ্যে মহসীন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। আশুলিয়া থানার খাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় মহসীনের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের ২৬টি ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, চারটি মোবাইলসহ ব্যাংকের চেকবই জব্দ করা হয়। তাকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিটিটিসির’র সিটি-ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগের ইনটিরিম মোবাইল মনিটরিং সেল (আইএমএমসি) টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আরিফুল হোসেইন তুহিন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, পার্সেলটি ছাড়িয়ে নিতে কিছু অতিরিক্ত খরচ (যেমন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কাস্টমস ও পুলিশকে) দিতে হবে বলে ওই নারীকে জানায় প্রতারক চক্র। নয় তো এয়ারপোর্ট থেকে এটা ছাড় করা কঠিন হয়ে পড়বে। ফলে সরল বিশ্বাসে ওই নারী টাকা দিতে রাজি হন। তিনি মোট চারটি ব্যাংক একাউন্টে মোট ১৫ লাখ ৬ হাজার টাকা পাঠান।
তারপরও কোনো পার্সেল না পাওয়ায় ওই নারীর বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপর ভুক্তভোগীর স্বামী কাজী নজরুল ইসলাম রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।
তিনি বলেন, অনলাইন মনিটরিং ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে শনাক্ত করা হয়।