কেরানীগঞ্জে খেয়া নৌকার মাঝি মনিন্দ দাসকে (৭০) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারা হলেন- ফজলে রাব্বি (২১), শরীফ (২০) ও আজিজুল শেখ (২২)।
র্যাব জানায়, ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় মনিন্দ দাসকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে গ্রেফতাররা। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এনায়েত কবির সোয়েব এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে শুভাঢ্যার চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া থেকে মনিন্দ দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি দল সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় চুনকুটিয়া সাবান ফ্যাক্টরি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনিন্দ দাসকে হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা খুনের কথা স্বীকার করেছে।
এনায়েত কবির সোয়েব আরও বলেন, মনিন্দ দাস বুড়িগঙ্গায় খেয়া নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার বাড়ি উপজেলার বাঘৈর এলাকায়। ৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে বাসা থেকে বেরিয়ে কালিগঞ্জ তৈলঘাট আসছিলেন। চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাকে ঘেরাও করে। কিন্তু মাঝির কাছে কোনো টাকা-পয়সা না পেয়ে এবং ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সঙ্গে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে শরীরে একাধিক আঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনিন্দ দাস।
এছাড়া তারা বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ডাকাতিসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই এবং আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল। গ্রেফতার বাপ্পির বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও ইভটিজিংয়ের তিনটি মামলা এবং শরীফের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ইভটিজিংয়ের দুটি মামলা রয়েছে বলেও জানা যায়। জানি