কুমিল্লায় ‘ইউটিউব সেলিব্রেটি বানানোর প্রলোভন’ দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জাহিদ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১১ সিপিসি ২ এর সদস্যরা।
সোমবার রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন মধ্যম আশ্রাফপুর এলাকার একটি বহুতল ভবনের ৭ম তলার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় জাহিদকে। ধৃত আসামি পেশায় একজন আইনজীবী বলে নিশ্চিত করেন র্যাব১১ সিপিসি ২ এর ইনচার্জ মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
তিনি আরোও বলেন, জাহিদকে গ্রেফতারের সময় ওই বাসা থেকে ভিকটিমসহ তার ভাই ও আরেক নারীকে উদ্ধারও করা হয়েছে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাহিদ চৌধুরী পরিবার নিয়ে কুমিল্লা নগরীর দৌলতপুর রেলগেট এলাকায় বসবাস করেন। তার দুই সন্তান রয়েছে। অপরদিকে স্কুলছাত্রীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় হলেও পরিবার নগরীর দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত রোববার স্কুলছাত্রী ও তার ভাই নিখোঁজ হওয়ার কথা বলে তাদের পরিবার র্যাবের নিকট অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে র্যাব ছায়া তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত জাহিদকে গ্রেফতার পুর্বক ভিকটিমদের উদ্ধার করে।
জাহিদ চৌধুরীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার জাহিদ চৌধুরী স্কুলছাত্রীর পারিবারিকভাবে পরিচিত এবং বাসায় যাতায়াত ছিল। জাহিদ নিজেকে জনপ্রিয় ইউটিউবার হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং স্কুলছাত্রীকে সেলিব্রেটি বানানোর নানা প্রলোভন দেখান। এক পর্যায়ে ২৫ নভেম্বর ছাত্রীকে স্কুল থেকে কৌশলে ভাড়া বাসায় নিয়ে জাহিদ ধর্ষণ করেন।
এরপর মেয়েটি তার মাকে বিষয়টি জানালে , মা তাকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। পরবর্তীতে গত ১৭ ডিসেম্বর স্কুলছাত্রী ও তার ভাইকে প্রলোভন দেখিয়ে আবার জাহিদ চৌধুরী ওই ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে পুনরায় ধর্ষণ করে।
উদ্ধার হওয়া অপর নারীকেও তিনি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় আনেন, স্কুলছাত্রী ও তার ভাইকে ওই বাসায় নিয়ে আটকের পর জাহিদ আরেক নারীকে (৩২) চাকরি দেওয়ার নাম করে সেখানে নিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে ভিকটিমের ভাই (২০) ও ওই নারীর ‘আপত্তিকর’ অবস্থার ভিডিও ধারণ করে তাদের ব্লাক মেইল করে ওই স্কুল ছাত্রীকে অন্য রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে