খুলনার রূপসায় সাত মাস পর বেরিয়ে এলো একটি হত্যাকান্ডের রহস্য। বাবা এনামুল হক এন্টাকে (৫০) হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছিল ছেলে নিয়ামুল ইসলাম তানভির (১৮)। দীর্ঘ ৭ মাস পর ঘটনাটি জানাজানি হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এ ঘটনাটি ঘটেছে রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের শোলপুর গ্রামে।
এ হত্যাকান্ডে জড়িত ঘাতক ছেলে ও তার সহযোগী জুম্মানকে (৪০) বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে আটক করা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার (২৯ ডিসম্বর) বিকেলে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি থেকে গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আটকদের স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ৯ মে (২৬ রমজান) বাবাকে মসলা বাটা শিল দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে হত্যা করে ছেলে। পরে তার সহযোগী জুম্মানকে নিয়ে মরদেহটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকিতে লুকিয়ে রাখে।
পরবর্তীতে তারা বাবা এনামুল হক এন্টা কোথাও চলে গেছে বা পানিতে পড়ে মারা যেতে পারে বলে এলাকায় প্রচারণা শুরু করে। এনামুল হক এন্টা আগে থেকে মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল বলে স্থানীয়রা তা সহজে বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন।
এদিকে গত বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে ঘাতক ছেলে নিয়ামুল ইসলাম তানভির ও তার ছোট ভাই নাঈমের (১১) মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাঈম চিৎকার চেঁচামেচি করে বাবা হত্যার বর্ণনা সবাইকে জানিয়ে দেয়। তাৎক্ষণিক ঘাতক ছেলে নিয়ামুল ইসলাম তানভির পালিয়ে যায়। ছোট ছেলে নাঈমের বক্তব্যের জেরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেওয়ার পর, পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে।
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা খবর পাওয়া মাত্র মরদেহ উদ্ধার করেছি। এছাড়া তাৎক্ষণিক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করি। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।