মা মেহেরুন্নেসা হকের পরিবারই পল্লবী মানুষের মায়ের আদর দিয়ে আগলে রেখেছেন । ১৯৭০ সালে যখন মিরপুর ছিলো বিহারীদের দখলে তখনই একমাত্র বাঙালী পরিবার বলতে ঐ সময়ে এই পরিবারকেই বলতো । তার চার সন্তানই সমাজের অনেক পরিচিত কিন্তু তাদের সরল ও নিরীহ জীবন যাপন আজ পর্যন্ত একটি মানুষের মনেও কোনো কষ্ট দেয় নাই ।
গোলাম রাব্বানী নয়ন বাঙালির বাবা ছিলো হক সাহেব, যিনি সবার কাছে একজন ভালো মানুষ ও সেরা মানুষ হিসেবে পরিচিত। এদের নাই কোনো হাঁক ডাক, নাই কোনো বাহিনী তবুও এরা সবার মুখে মুখে। মিরপুর পল্লবীতে তারা একমাত্র মডেল যে- নয়ন বাঙালির কোনো সন্ত্রাসী গ্রæপ নাই এমনকি কোনো দুষ্ট চক্র পালে না সমাজে টিকে থাকার জন্য। গোটা পরিবারই উচ্চ শিক্ষিত কিন্তু সামাজিক ; কেননা সাধারণত উচ্চ শিক্ষিত মানুষ গুলো বেশী সামাজিক ভাবে পাড়া মহল্লায় জড়িত থাকতে চায় না ।
মা মেহেরুন্নেসা প্রায় ২৫ বছর ধরে এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধি ও একটা বড রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির জাতীয় সদস্য পরপর ৩ দফা প্রায় ১৫ বছর তবুও তারা মাঠে মহল্লায় থাকে। এখানেই কাজ করে কখনো কেন্দ্রে যায়ও না সেই ইচ্ছাও পোষন করে না তাই তো এলাকার প্রতিটি ঘর, দলমত নির্বিশেষে এই পরিবারের কথা সবাই বলে ।
মা মেহেরুন্নেসার ছোটো ছেলে নাদিম বাঙালী মিরপুর ক্লাব, পল্লবী সংসদ, পল্লবী প্রেস ক্লাব এধরনের বড় বড় সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছে।
বড ছেলে বিশ্ব কাঁপানো মানবাধিকার নেতা হওয়া সত্তে¡ও নিজেকে মিল্লাত ক্যাম্পের নয়ন বাঙালী হিসেবে এখনো পরিচয় দেয়। কতোটা মাটির মানুষ হলে এরা ঘরে ঘরে মানুষের মন মন্দিরে থাকার চেষ্টা করে, তাও আবার সারাদেশে বা সারা ঢাকায়। তাদের এসব উচ্চবিলাসী স্বপ্ন নাই: গ্রাম পাড়া মহল্লার সমাজ সেবক হয়ে বাঁচবে তাই তাদের ব্রত।
নয়ন বাঙালী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবার যে কিনা ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনিতে প্রথম স্থান অধিকার করা মেধাবী মানুষ তবুও যেনো অতি সাধারণ।
বর্তমান সময়ে পল্লবী মিরপুরে আওয়ামিলীগ বিএনপি দুই দলেই এমন সাদামাটা পরিবার নাই, যাদের কোনো অর্থ বিত্ত নাই, শুধু থাকার জন্য পৌনে দুই কাঠার বিহারী জয়েন্ট কোর্য়াটারের একটা বাড়ি। ৪ তলায় ৪ ভাই-বোন আর মা এক ফ্লোরে, নাই কোনো চাঁদাবাজির রেকর্ড বা মাস্তানি করে চালানো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা গার্মেন্টস-এর জুট ব্যবসা, পরিবহন ব্যবসা তবুও তারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত। আর যারাই রাজনীতি করে এদের শুধু দলবাজি আর দলের পদ পদবী ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করা ছাড়া কিছুই নাই। মানুষ এদের ভয় পায় আবার নিরীহ সাধারন মানুষ চিনেও না কিন্তু মা মেহেরুন্নেসা হক-কে দেখলেই প্রতিটি মানুষ ভাবে ওদের মা আছে তাই নাই ভয়।