চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আইনজীবী আনিসুল ইসলামকে (৩২) একদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুর রহমান। তিনি বলেন, নিজের স্ত্রী ও চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদা খানম আঁখি (২১) হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি অ্যাডভোকেট আনিস। তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আজ (বুধবার) আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বছর দুয়েক আগে চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভা এলাকার আনিসুলের সঙ্গে একই উপজেলার উত্তর জলদী এলাকার বাসিন্দা আঁখির বিয়ে হয়। তারা নগরের চান্দগাঁও থানার পাঠানিয়া গোদা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। বিয়ের পর আনিস যৌতুক দাবিসহ নানা বিষয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করতেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় স্ত্রীর গায়ে হাতও তুলতেন আনিস। নির্যাতনে আনিসকে সহযোগিতা করতেন তার মা ফরিদা আক্তার (৫০) এবং বোন হামিদা বেগম (৩৪)।
সর্বশেষ গত ১৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে আঁখিকে তার স্বামী, শাশুড়ি এবং ননদ মিলে মারধর করেন। এরপর তাকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, মারধরে আঁখির নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে গেছে। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অপারেশনের প্রয়োজন হলে আঁখিকে রোববার (১৯ ডিসেম্বর) আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন সন্ধ্যার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে নিহতের ভাই বাদী হয়ে অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ১১ (ক) ধারায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরদিন (সোমবার) আনিসকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠান।