মোটর সাইকেল এবং সাইকেল চালকদের মানসম্পন্ন হেলমেট ছাড়া রাস্তায় বের না হওয়ার আহবান জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)।
তিনি আজ বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ব্র্যাক আয়োজিত বাংলাদেশে ইউএন স্ট্যান্ডার্ড হেলমেট চালুকরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
আইজিপি বলেন, দেশ যত উন্নত হচ্ছে রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের সংখ্যা তত বাড়ছে। সড়ক নিরাপত্তাও দিন দিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। এক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার শিকারের ৭০ ভাগই পথচারী। অন্যদিকে, মোটরসাইকেল ভিকটিমদের বেশিরভাগই তরুণ, যাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তারা দেশের উৎপাদনক্ষম জনশক্তি।
তিনি বলেন, গত ছয় মাসে দেশে ১ হাজার ৪৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৭৮টি। গত ছয় মাসে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় ৩৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ২৩৯ জনের হেলমেট ছিল। আহত হয়েছেন ৩০৫ জন, এর মধ্যে ২২৪ জনের হেলমেট ছিল না। এটা হল হেলমেট থাকা না থাকার একটা দিক। অন্যদিক হল হেলমেটের কোয়ালিটি।
পুলিশ প্রধান বলেন, আমাদের দেশে হেলমেটের কোন সার্টিফিকেশন কর্তৃপক্ষ নেই। তিনি বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন অথবা ইউএস স্ট্যান্ডার্ড হেলমেট আমদানি অথবা দেশে অ্যাসেম্বলিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, দেশে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান মোটর সাইকেল উৎপাদন করছে। তিনি মোটর সাইকেলের সাথে হেলমেট যুক্ত করে প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণের জন্য মোটরসাইকেল উৎপাদনকারীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি নিম্নমানের হেলমেট আমদানি বন্ধেরও দাবি জানান।
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা আহত হলে এটা শুধু একটা পরিবারেরই ক্ষতি নয়, এতে দেশের অর্থনীতিও ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
আইজিপি এ ধরনের সময়োপযোগী অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এবং বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।