খুশি। বয়সটা ৫ বছর। গত ১৮ নভেম্বর ২০২১ খ্রি. সকালে ঢাকার কামরাঙ্গীচর থানা এলাকা থেকে হারিয়ে যায় সে। ঠিকানা বলতে না পারায় খুশিকে থানায় দেওয়া হয়। থানা পুলিশ খুশিকে পাঠিয়ে দেয় ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে। সেখানে পুলিশ খুশির জন্য পরিবারের মতো পরম যত্নে থাকার ব্যবস্থা নেয়। পাশাপাশি চলে তার পরিবারকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা।
এভাবে ১২ দিন পুলিশের নিরন্তর চেষ্টার পর খুশির পিতাকে খুঁজে পায় পুলিশ। অন্ধ বাবার হাতে খুশিকে তুলে দেওয়ার পর এভাবেই অনুভূতি ব্যক্ত করেন খুশির বাবা হাশেম।
“কত জায়গায় আমার বাচ্চাডারে আমি খুঁজছি, আঠার তারিকা দুইডার সময় হারাইছে, বিরোস্পতিবার। কত লোগের কাছে আমি যাই, আমি কোন জায়গায় আর আমি ইয়া পাই না। কিন্তু আমার বাচ্চার কোন ছবি ছিল না, এ কারণে আমি ইয়া করতে পারিনা। কিন্তু আমি এহন পুলিশ প্রশাসনের কাছে আইয়া আমরা বাচ্চাডারে আমি পাইছি। আমি মরার আগ পর্যন্ত যতদিন বাচ্চা্ইয়া থাকি ওতোদিন ভর আমি পুলিশ প্রশাসনের লাগি দোয়া করাম। এ বারোডা দিনে বোঝা গেছে আমার লাগি বারোডা বৎসর গেছে। বারোডা বৎসরে যদি আমি জেলেও থাকতাম তবুও আমার ওতানি সাজা ভোগ করন লাগতো না। আমরার মদন থানার ওসি ফোন দিছে আমরার চেয়ারম্যানের ধারো, যে চেয়ারম্যানের ধারো ফোন দিছে যে কোন থানাত আটকা। আমি কইছি যে কোন থানাত আছে বাংলাদেশের ভিতরে যে কোনই থানায় থাহে, তুই খালি আমারে নামডা কইয়া দে, ঠিহানাডা কইয়া দে, আমি যাইয়াম। এর ভিতরেনি কিছুক্ষণ পরে আপনেরা থানা থেইকা ফোন গেছে। এহানো আইয়া তো দেখতাছি যে মেয়ে আমরার খুব যত্নই আছে”।
এভাবেই প্রতিদিন হারিয়ে যাওয়া শিশুদের উদ্ধার করে পিতামাতার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।