1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন

আদাল‌তে সাক্ষী দি‌বেন ম‌ডেল তি‌ন্নির বাবা ও চাচা

নাগ‌রিক অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২১
  • ৬২৭ বার পঠিত

কেরানীগঞ্জে মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেবেন তার বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম। আগামী ৫ জানুয়ারি সাক্ষ্য দেবেন তারা। সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা জজ কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে আবেদন করেন তারা। পরে আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদিকে ১৯ বছর আগে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় ঘোষণা আবারও পেছালো। মামলার একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি। আজ সোমবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা জজ কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে রায় ঘোষণা করার কথা ছিল।

এর আগে গত ২৬ অক্টোবর একই আদালতে রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। ওই দিন বিচারক রায় ঘোষণা না করে ১৫ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন তিন্নি। এর আগে ৬ নভেম্বর তিন্নিকে তার স্বামী সাক্কাত হোসেন পিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করেন অভি। তিন্নিও তাকে তালাক দেন। ওই দিনই পিয়ালকে তার দেড় বছর বয়সী কন্যাসন্তানসহ রাজধানীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর বিয়ে করার জন্য অভিকে চাপ দিতে থাকেন তিন্নি। একপর্যায়ে তিন্নি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন।

১০ নভেম্বর রাতে মাথায় আঘাত করে তিন্নিকে হত্যা করা হয়। এরপর গুমের উদ্দেশ্যে ওই রাতে বুড়িগঙ্গার ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় মরদেহ। কিন্তু পানিতে নয়, মরদেহটি পড়ে পিলারের উঁচু অংশে। পরদিন সকালে মরদেহ ঘিরে উৎসুক জনতা ভিড় করে।

কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের পর ময়নাতদন্ত করে। মর্গে চারদিন রাখার পর ১৫ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় তিন্নিকে।

অন্যদিকে, তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম কেরানীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মরদেহ উদ্ধারের দিন একই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. শফি উদ্দিন। মামলায় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের আসামি করা হয়।

মামলাটি চাঞ্চল্যকর হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর এর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এএসপি মোজাম্মেল হক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়। এছাড়াও এ মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়।

২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তিন্নি হত্যা মামলায় আসামি অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com