যশোরের শার্শা উপজেলা খাদ্য গুদামে সংরক্ষিত প্রায় ১৫ হাজার বস্তা গোপনে বিক্রি করে পুরো টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বস্তাগুলোর বাজার দর প্রায় ১০ লাখ টাকা। এ অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান রোববার (৭ নভেম্বর) বদলি হওয়ায় নতুন খাদ্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরকালে এ আত্মসাতের ঘটনা প্রকাশ হয়।
নতুন ধান কেনার জন্য জেলা খাদ্য গুদাম থেকে নতুন বস্তা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩০ কেজি চালের ১২ হাজার ৬০০ ও ৫০ কেজি চালের ২ হাজার ১৭০টি সহ মোট ১৪ হাজার ৭৭০টি নতুন খালি বস্তা বাইরের লোকের কাছে বিক্রি করে দেন আগের খাদ্য কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান। যার বাজার মূল্য ১০ লাখ টাকা।
দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন খাদ্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় প্রায় ১৫ হাজার নতুন বস্তা কম পেয়েছি। বিষয়টি জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত খাদ্য কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, বস্তা আত্মসাতের ঘটনাটি সঠিক নয়।
এ বিষয়ে যশোর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আত্মসাতের ঘটনাটি সত্য না মিথ্যা তা তদন্ত করার পর জানা যাবে। এ ব্যাপারে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে এবং ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।