কুমিল্লার ঘটনায় আরও দুই মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা ও সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ অনুষ্ঠানিকভাবে মামলার নথিপত্র সিআইডির পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজওয়ানের কাছে হস্তান্তর করে।
এর আগে পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনের মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজওয়ান জানান, ১৪ অক্টোবর কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় প্রতিমা ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস হোসেন ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত ছয়জন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
একই দিনে কুমিল্লা নগরীতে মন্দির ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলিম ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ৩০ অক্টোবর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলা দুটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। সে আলোকে সোমবার দুপুরে মামলার সব ডকুমেন্ট অনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরমধ্যে মামলা দুটি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের মুখোমুখি করা হবে।
এদিকে পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন, রেজাউল ইসলাম ইকরাম, দারোগা বাড়ি মাজার মসজিদের সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহর দ্বিতীয় দফার রিমান্ড চলছে। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা সুলতানা তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড দেন।
জেলা পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, পূজামণ্ডপ ভাঙচুরের ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় এখন পর্যন্ত ১১ মামলা হয়েছে। এরমধ্যে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সাতটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি, দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ৯১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।