যশোরের অভয়নগর উপজেলায় বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শামিম হাসান (৩৫) নামে এক শ্রমিক তার নারী সহকর্মীকে পিটিয়ে ও অ্যাসিডে ঝলসে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার তালতলা এলাকার চামড়ার মিল এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। শামিমকে বিকালে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত কেয়া খাতুন অভয়নগরের গ্রামতলা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। গ্রেফতার শামিম জাফরপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শামিম ও কেয়া দীর্ঘদিন ধরে এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজে শ্রমিকের কাজ করছেন। কাজ করার সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোমবার দুপুর ২টার দিকে খাবার বিরতির সময় শামিম বিয়ের জন্য কেয়াকে চাপ দেন। কেয়া বিয়েতে রাজি হননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লোহার রড দিয়ে কেয়ার মাথায় আঘাত করেন শামিম। এরপর মিলের কাজের জন্য বালতিতে রাখা অ্যাসিড তার শরীরে ঢেলে দেন। অ্যাসিডে কেয়ার শরীর ঝলসে যায়। তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
ওসি একেএম শামীম হাসান বলেন, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শামিম লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও অ্যাসিড ঢেলে কেয়াকে হত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।