নোয়াখালীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে বসুরহাট পৌরসভায় আটকে রেখে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের জুবলি রোডের মেসার্স ছাত্তার বিস্কুট বেকারি অ্যান্ড ব্রেড ইন্ডাস্ট্রিতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কাদের মির্জার রোষানলের শিকার ব্যবসায়ি আবদুল ওহাব (৫২) ও তার পরিবার হতাশা ও উৎকণ্ঠায় সময় পার করছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবদুল ওহাব অভিযোগ করে বলেন, তার পৈত্রিক ক্রয়কৃত সম্পত্তি ৪ শতক জায়গায় (মেসার্স ছাত্তার বিস্কুট বেকারি অ্যান্ড ব্রেড ইন্ডাস্ট্রির নামে ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে ১৫ জন কর্মচারী কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন থেকে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনসহ কাদের মির্জার নির্বাচনেও কাজ করেছি। আমার পরিবারের সদস্যরা সবাই আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত।
কিছু দিন আগে কাদের মির্জা আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খাস জায়গায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন। এরপর হঠাৎ করে গত ১৫ থেকে ২০ দিন আগে কাদের মির্জা তার লোকজন নিয়ে এসে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তালা লাগানোর ৪ দিন পর তিনি ডেকে নিয়ে চাবি ফেরত দিয়েছেন।
ওহাব বলেন, আমাদের জায়গার সকল কাগজপত্র ঠিক রয়েছে। কিন্তু রেকর্ডের সময় ভুলে আমাদের নামটি বাদ যায়। তখন আমরা রেকর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করি। এ নিয়ে গত ৪ থেকে ৫ বছর রেকর্ডের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলছে। এসব কাগজপত্রও আমরা পৌরসভায় জমা দিয়েছি।
ওহাব অভিযোগ করে আরও বলেন, শুক্রবার ২২ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে কাদের মির্জা দোকানে এসে আমাকে ঘুষি মেরে তার অনুসারীদের দিয়ে আমাকে উঠিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার দোকান থেকে আমাকে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন ঘণ্টা পর দুপুর দেড়টার দিকে একটি ৩০০ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়। আমার থেকে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার সময় জানানো হয় এতে কোনো সমস্যা হবে না। পরে স্ট্যাম্পের বিষয়ে আমার সাথে কথা বলা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত একাধিকবার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে যোগাযোগের করা হলে ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে আমাদের কাছে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।লিখিত অভিযোগ না পেলে আইনগত কোন পদক্ষেপ নিতে পারবেন না বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।