কুমিল্লার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এ ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যে ধর্মেরই হোক না কেন বিচার করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে দুর্গাপূজার চতুর্থ দিনে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যারা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারে না, তারাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন। এ সময় পূজায় আগত সবাই দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মণ্ডল। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী মিলন কান্তি দত্ত, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন ঢাকার অধ্যক্ষ স্বামী পূর্নাত্মানন্দ মহারাজ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী নির্মল কুমার চ্যাটার্জীর সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লার নানুয়ার দিঘি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার একটি খবর বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ছড়ানোর পর কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় উপাসনালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। চাঁদপুরে পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
রাতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জরুরি ঘোষণায় প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ‘কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননা সংক্রান্ত খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’