আসন্ন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবে ব্যানারে পোষ্টারে শুভেচ্ছা জানিয়ে, করোনায় অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে মেয়র প্রার্থীতার বার্তাই যেন জানান দিচ্ছে প্রার্থীরা।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন লড়াইয়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। তারা হলেন বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, সাবেক সাংসদ মনিরুল হক চৌধুরী, ও নুরুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ি কাউছার জামান বাপ্পি।
তবে আ’লীগ থেকে মেয়র প্রার্থীর তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। মনোনয়ন লড়াইয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, সংরক্ষিত সাংসদ আনজুম সুলতানা সীমা, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই বাবলু, ত্রান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নুর উর রহমান মাহমুদ তানিম, বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কবিরুল ইসলাম শিকদার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আ’লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান মিঠু এবং মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক জিএস আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ। তবে এ তালিকায় যোগ হতে পারে একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও সাংসদের নামও ।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পরে পরপর দুইবার আ’লীগ দলীয় প্রার্থী এড.আফজল খান ও আনজুম সুলতানা সীমা বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর কাছে পরাজিত হয়। আ’লীগের দুইবারের পরাজয়ের পেছনে দলীয় অর্ন্তকোন্দলই বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে নেতৃমূল নেতারা মনে করেন। এবারো কি বিএনপি নগর পিতার আসন ধরে রাখবে নাকি প্রথম বারের মত আ’লীগ নগর পিতার আসনে বসবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েক মাস।সুত্র:আকু