খুলনায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া খুলনা জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১১ জন বিদ্রোহী প্রার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দলটির দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা শাখার বর্ধিত সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা পরিচালনা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী।
সভায় নেতারা বলেন, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে জয় লাভ করাতে হবে এর কোনো বিকল্প নেই। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে যেসব নেতাকর্মী অবস্থান নেবেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তারা আরাও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আসন্ন ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর (নৌকার) বিপক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হায়দার মোড়ল, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সরদার, সহ-সভাপতি আমির আলী গাঈন, দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম ঠান্ডু মোল্যা, পাইকগাছা থানা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ গোলদার, সেনহাটী ইউনিয়নে গাজী জিয়াউর রহমান, কয়রা উপজেলার বেদকাশী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা মোড়ল আছের আলী, বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শেখ মো. আসাবুর রহমান, দাকোপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সঞ্জয় মোড়ল, বানিসান্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য সুভাংশু বদ্ধ্য, কামারখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য সমরেশ রায়সহ সব বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিজ নিজ দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আগামী তিন দিনের মধ্যে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর জবাব জেলা দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করে থাকলে তাদের আগামী তিন দিনের মধ্যে নৌকার পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তারাও সাময়িক বহিষ্কার হবেন।