নিজের বিয়েটাকে স্মরণীয় করে রাখতে হেলিকপ্টারে করে নববধূকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে আব্বাস আল কোরেশি নামে এক যুবক। শুক্রবার (২০ আগস্ট) বিকেলে বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ঢাকা ছেড়ে আসা প্রাইভেট হেলিকপ্টারটি মাগুরার মহম্মদপুরের আমিনুর রহমান ডিগ্রী কলেজে অবতরণ করে। এ সময় বর আব্বাস আল কোরেশি ও নববধূ জান্নাতুল নাইমাসহ কয়েকজন বরযাত্রী সাথে ছিলেন। বর ও নববধূ হেলিকপ্টার থেকে নামলে তাদের বরণ করে নেন পরিবারের লোকজন।
বর আব্বাস আল কোরেশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে লেখাপড়া করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের মুসল্লি পরিবারের ড. মাওলানা এ টি এম ওমর ফারুকের বড় ছেলে। নববধূ জান্নাতুল নাইমার বাড়ি ঢাকা আঁগারগাওয়ে। বাবা-মা সরকারি চাকরিজীবী। তিনি ফরিদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
বর আব্বাস আল কোরেশী জানান, করোনা মহামারির কারণে বিয়ে উপলক্ষে তেমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেননি। ছোটবেলা থেকেই সে স্বপ্ন দেখত বউ নিয়ে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি ফিরছেন। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্যই পরিবারের অনুমতি নিয়ে তিনি হেলিকপ্টারে বাড়িতে আসেন। তিনি আরও জানান, লোক দেখানো বা আহামরি কিছু করি নাই। ইচ্ছে ছিল আর সেই ইচ্ছাপূরণ করেছি মাত্র।
নববধূ জান্নাতুল নাইমা জানান, স্বামীর ইচ্ছাতেই হেলিকপ্টারে শ্বশুর বাড়িতে এসে তিনিও খুব খুশি। তিনি আরও খুশি হয়েছেন তার শাশুড়ির উৎসাহেই এই আয়োজন ছিল।
আব্বাস আল কোরেশির মা বেবী ফারুখ জানান, পিতৃহীন ছেলেকে অনেক কষ্ট করেই মানুষ করেছেন। পারতপক্ষে বাবার অভাব বুঝতে দেননি। তাই তিনি ছেলের ছোটবেলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে নিজেই উৎসাহিত করেছেন।
হেলিকপ্টারে আসা বর-বধূকে দেখতে আসা স্থানীয় জরিনা বেগম, পারভিন আক্তার, নবুয়ত মোল্ল্যাসহ অনেকেই জানান, বউ নিয়ে হেলিকপ্টারে আসবে জেনে দেখতে আসছি।
সত্তোর্ধ্ব গোলাম রসুল মিয়া বলেন, আমাগের সময় গরুর গাড়ি আর বড়ো লোকেরা পালকিতে বিয়ে করতো। দেশ উন্নত হয়েছে, এখন আরও অনেক কিছু দেখছি হেলিকপ্টারে বিয়ে। বেঁচে থাকতে আরও হয়তো অনেক কিছু দেখতে পাবো।
এ জাতীয় আরো খবর..