সেই ১৫ আগস্ট ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ কেউ রাজপথে নামেনি। অথচ সেদিন বঙ্গবন্ধু মুজিবের রক্তাক্ত মরদেহ সিঁড়িতে পড়ে ছিল। কেন সেদিন ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ রাজপথে গর্জে উঠতে পারেনি বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মরদেহ গ্রহণ করতে সেদিন আওয়ামী লীগের কেউই বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যাননি। এমনকি আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী ঘর থেকেই বের হননি। অথচ বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব গহনা বিক্রি করে ছাত্রলীগকে দিয়েছিলেন। সেদিন ছাত্রলীগও বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করতে রাজপথে গর্জে উঠেনি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগই জয় বাংলা স্লোগান প্রথম দিয়েছিল এবং শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছিল। অথচ সেদিন ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর মরদেহ গ্রহণ করতে ধানমন্ডিতে যায়নি। আমাদের এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে।
কামাল হোসেন বলেন, ২১ আগস্টের লক্ষ্যবস্তু ছিল শেখ হাসিনা। মঞ্চে অনেক নেতাকর্মী ছিলেন কেউই গ্রেনেডের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না, শুধু শেখ হাসিনাই একমাত্র লক্ষ্যবস্তু ছিলেন।
ছাত্রলীগ আয়োজিত সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান, সম্পাদক জুবায়ের আহমেদসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ ও নেতাকর্মীরা উপসি ।