চিত্রনায়িকা পরীমনি কাণ্ডে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথ এলাকা থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা। আটকের পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীমণি ও তাকে মুখোমুখি করে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর ডিবির (উত্তর) যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, পরীমনি ও রাজের মামলা আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে আমরা যে কাউকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি।
এদিকে চয়নিকা চৌধুরীকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি গাড়ি থেকে আতঙ্কিত হয়ে বলছিলেন, আমাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমি কিচ্ছু জানি না।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে আটক করে র্যাব। এসময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরীমনির মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
জানা গেছে, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে নিজের ‘মম’ বলে সম্বোধন করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। বিভিন্ন সময় তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়। এছাড়াও পরীমনির বিভিন্ন কর্মকান্ডে সব সময় পাশে ছিলেন এই নির্মাতা। বিশেষ করে গত মাসে ঢাকার সাভারে উত্তরা বোটক্লাব কান্ডে সর্বদা পাশে থেকে পরীমণিকে সাহস জুগিয়ে ছিলেন চয়নিকা।
ঢাকা বোর্ড ক্লাবের ঘটনায় পরীমনি চয়নিকাকে কাছে পেলেও পরীমনির বাসায় যখন র্যাব অভিযান চালায় তখন চয়নিকাকে দেখা যায়নি। পরীমনি আটকের খবরটি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রকাশ হলেও তখনও নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীও উধাও ছিলেন। এবার বিপদে মেয়ের কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়নি তাকে।
উল্লেখ্য, চয়নিকা চৌধুরী বাংলাদেশের একজন আলোচিত পরিচালক। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শেষ বেলায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে পরিচালনা শুরু করেন তিনি। ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। ওই সিনেমার নায়িকা পরীমনি। এই সিনেমার কাজের পর থেকে নায়িকা পরীমনির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।