রংপুরে কাউনিয়ায় বোনের বিয়ে ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় রেজাউল করিম নামে ২৭ বছর বয়সী এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩ জুলাই) রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত যুবক রেজাউল উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের হরিচরন লস্কর গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে। ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন রেজাউল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রেজাউল করিমের চাচাতো বোনের বিয়ের আলাপ চলছিল। সম্প্রতি বরপক্ষের লোকজন কনেকে দেখতে আসেন। কিন্তু একই গ্রামের প্রতিবেশী সিদ্দিক হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম বরপক্ষের লোকজনকে কনের নামে মিথ্যা বানোয়াট অপবাদ দিয়ে নানা কথা বলেন। এতে বিভ্রান্ত হয় বরপক্ষ। মেয়েটির বিয়ে ভেঙে যায়। আরিফুলের এই অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করেন মেয়েটির চাচাতো ভাই রেজাউল করিম। এতে আরিফুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৮ জুলাই সকালে রেজাউলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আরিফুল ইসলাম ও তার লোকজন। পরে রাস্তার উপর ফেলে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এ সময় রেজাউলের নানা জহুর উদ্দিন তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রেজাউল ও তার নানাকে উদ্ধার করে কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
কিন্তু রেজাউল ইসলামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মঙ্গলবার রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রেজাউল ইসলাম।
বুধবার দুপুরে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুমুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় গত সোমবার (২ আগস্ট) রেজাউলের মা বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামি আরিফুল ইসলাম। অন্য আসামিরা হলেন— রেজাউলের বাবা সিদ্দিক হোসেন, আব্দুল কাদের আব্দুর রশিদ, আসাদুল ইসলাম আসাদ ও আনোয়ার হোসেন ও রফিকুল ইসলাম। মামলা হওয়ার পর ওইদিন রাতে এক আসামি আসাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..