খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোন সংকট হবে না। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। মজুদের জায়গারও কোন অভাব হবে না। মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ওএমএস দ্বিগুণ করা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চাল সংগ্রহ ভালো হচ্ছে। কোথাও কেউ খারাপ চাল দিলে সেটা রিজেক্ট করা হচ্ছে। আর যদি কেউ খারাপ চাল সংগ্রহ করে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। সোমবার নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর খাদ্যগুদাম পরিদর্শন কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি এই কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। খাদ্য মজুদ‌ের জায়গার কোন অভাব হবে না।

এসময় রাজশাহী বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী, পোরশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, ইউএনও নামুল হামিদ রেজা, নওগাঁ জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির, ভাইস চেয়ারম্যান কাজিবুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেনসহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে খাদ্যমন্ত্রী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তরেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। সভায় স্থানীয় বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশ গ্রহণ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউএনও নাজমুল হামিদ রেজা।

সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে করোনা ভারইরাস মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষ যাতে করে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে পারে সেজন্য তিনি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করছেন। আগামী ৭ আগস্ট থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে মানুষ যাতে সহজে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারে প্রধানমন্ত্রীর সেই ব্যবস্থা করেছেন। ভ্যাকসিন প্রদানের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে সকলকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে করোনা সেচ্ছাসেবক কমিটি করা হয়েছে। তারা করোনা মোকাবেলায় জীবন বাজি রেখে কাজ করছে। স্বাস্থ্য বিভাগের ভ্যাকসিন কার্যক্রম শতভাগ সফল করতে স্থানীয় জন প্রতিনিধিগণকে সেচ্ছাসেবকদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করার আহবান জানান।

সভা শুরুর আগে শোকাবহ আগষ্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ঘাতকদের হাতে নিহত তার পরিবারের সকল সদস্য নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী দুপুরে নিতপুর ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং সেখানে বসবাসরত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।