বগুড়ার শাজাহানপুরে আব্দুল খালেক রঞ্জু (৫০) নামে পলাতক এক মাদক কারবারীকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তবে ওইদিন সন্ধ্যায় জামিনে বের হয়ে তাকে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে গেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
মাদক কারবারি আব্দুল খালেক রঞ্জু উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের মাড়িয়া উত্তরপাড়ার গোলাম রহমানের ছেলে। গতকাল দুপুরে উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের মাড়িয়া উত্তরপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ডেমাজানী এলাকা থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের সাজাপুর পন্ডিতপাড়ার মাদক সম্রাট আফতাব হোসেন ওরফে পেতারের মেয়ে মৌসুমী আক্তারকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় মাড়িয়া গ্রামের আরেক মাদক সম্রাট আব্দুল খালেক রঞ্জু কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মৌসুমী আক্তার ও রঞ্জুকে আসামি করে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
পরে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা অভিযান চালিয়ে রঞ্জুকে গ্রেপ্তার করেন। দুপুর দেড়টার দিকে রঞ্জুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু সন্ধ্যায় ওই মাদক কারবারিকে নিজ এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয়রা।
মতিউর রহমান মতি নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, আব্দুল খালেক রঞ্জু এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হেরোইন বিক্রি করে আসছেন। তার স্ত্রী ও ছোটভাই মোহাম্মাদ আলী মাদক ব্যবসা করে আসছেন। এলাকাবাসী একাধিকবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও তারা মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তারের পর সন্ধ্যায় জামিন নিয়ে তাকে এলাকায় ঘুরতে দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আসামি আব্দুল খালেক রঞ্জুকে পূর্বের মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবাসী।