সৌদি আরবে নিয়ে যেতে ৮ হাজার ৯৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হওয়া যাত্রী সাদ্দামের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল তাকে গ্রেফতার করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। এদিকে গতকাল বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক সংবাদ সম্মেলনে এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিয়াউল হক বলেন, বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের দাম্মামের উদ্দেশ্যে যেতে সাদ্দাম ভোর ৬টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন।
প্রথমে ঢাকা থেকে ওমানের মাসকাট এবং কানেন্টিং ফ্লাইটে সৌদি আরবের দাম্মাম যাওয়ার কথা ছিল তার। আসামি সাদ্দামের বাড়ি কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায়। এসব ইয়াবা তিনি কুমিল্লার এক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়েছেন। ওই ব্যক্তিদের একটি চক্র সাদ্দামকে সৌদি আরবে যাওয়ার টিকিট বা ভিসা করে দিয়েছে।
জিয়াউল হক বলেন, আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি, এই ইয়াবাগুলো ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো সৌদি আরবে নিতে পারলে সেখানে প্রতি পিস এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। সেখানে প্রতি পিস ইয়াবাতে তার ৮-১৩শ টাকা করে লাভ থাকত।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিয়াউল হক বলেন, আসামি সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা ইয়াবা পাচার চক্রের সদস্যদের বেশকিছু নাম পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এই চক্রের বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান জিয়াউল হক
ইয়াবা পাচার সাদ্দামের এটাই প্রথম নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। ২০২০ সালে আসামি সাদ্দাম ইয়াবা পাচারের সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। সেই মামলায় তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। এরই মধ্যে ইয়াবার বড় এই চালানটা তিনি সৌদি আরবে পাচার করতে যাচ্ছিলেন।