কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে ইছাপুরায় মোদি দোকানের ব্যবসায়ি গরুর খামারের মালিক ও কর্মচারীকে হত্যা করে লাশ ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দক্ষিণ সার্কেল) প্রশান্ত পাল ও লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব। নিহতরা হলেন, উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা মজুমদার বাড়ীর মোঃ হাসানুজ্জামানের ছেলে খামার মালিক শরীফুল ইসলাম (৩২) ও একই গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে খামার কর্মচারী ফয়েজ আহমেদ (২০)।
স্থানীয়রা জানান, শরীফুল ইসলাম কয়েক বছর ধরে নিজ বাড়ির সামনে মুদি দোকানের ব্যবসা করে আসছিলেন। পাশাপাশি তাঁর একটি গরুর খামারও রয়েছে। তাঁর খামার ও দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন ফয়েজ আহমেদ। এবারের কোরবানির ঈদে শরীফুল ১০ লক্ষাধিক টাকার গরু বিক্রি করেছিলেন। সোমবার রাতে শরীফুল দোকান বন্ধ করে কর্মচারী ফয়েজকে নিয়ে বাড়ির নিজের শয়ন কক্ষে ঘুমান। ঐ সময় শরীফুলের বাবা-মা আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। পরে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শরীফুলের বাবা বাড়িতে এসে দেখে তাঁর ছেলের মরদেহ ঘরের বাঁশের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। আর ফয়েজের মরদেহ খাটের উপরে ছিল। ফয়েজের শরীরে রক্তাক্ত জখম রয়েছে। এ সময় শরীফের বাবার চিৎকারে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে জড়োও হয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গরু বিক্রির টাকার জন্য শরীফুলকে শ্বাসরোধ করে ও ফয়েজকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ফয়েজকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর গলায় জখম আকারে ছোট ছোট খামচির দাগ রয়েছে। আর শরিফের লাশ ছিল ঝোলানো। ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। এ কারণে তদন্তের আগে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন ধরনের আলামত সংগ্রহ করেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে আলামত দেখে মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করা যাবে।
ডাবল মার্ডারের বিষয়ে সদর দক্ষিণ সার্কেল প্রশান্ত পাল জানান, হত্যার রহস্য উৎঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে , তদন্ত চলছে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।