সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার ২৭ জুলাই। অনেকেই তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার প্রত্যুত্তরে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা, জয়। এবং সেখানেই তিনি বললেন তিনি এখন বাংলাদেশের সমান বয়সী, একজন ‘মধ্যবয়সী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা’।
মঙ্গলবার নিজের এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘যারা আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমার বয়স এখন অর্ধশতক, বাংলাদেশের সমান বয়সী। আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের ১২ বছর পর বাংলাদেশ আজ একটি মধ্যম আয়ের, ডিজিটালাইজড দেশ। আমি এখন একজন মধ্যবয়সী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা!
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার ছেলে জয়ের জন্ম মুক্তিযুদ্ধের সময়। ৫০ বছর পূর্ণ করলেন তিনি।
১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় জন্ম জয়ের। প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া তার বাবা। সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান জয় ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হন তিনি। তবে রাজনীতিতে খুব একটা সক্রিয় নন জয়।
তবে আওয়ামী লীগের নেতারা ২০০৮ সালে দলের বিশাল বিজয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ‘বড় ভূমিকা’ ছিল বলেই বলেন।
তারা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’র ধারণা নির্বাচনী ইশতেহারে জয়ের উদ্যোগেই যুক্ত হয়েছিল। তরুণ প্রজন্মকে সেই ধারণাই আওয়ামী লীগের পক্ষে টেনে আনে।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের যখন হত্যা করা হয় সে সময় বাবা ও মার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। এরপর মায়ের সঙ্গে চলে যান ভারতে। সেখানেই কাটে শৈশব ও কৈশোর।নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে পড়ালেখার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি নেন জয়। পরে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন জয়। তাদের একটি মেয়ে আছে।