কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানাধীন বারেরা গ্রামে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণকারী ধর্ষক সোহাগকে বিশেষ কৌশলে গ্রেফতার করে র্যাব ১১ সিপিসি টু এর সদস্যরা।
র্যাব সুত্র জানায়, কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার বারেরা গ্রামের মোঃ মফিজ এর ছেলে মোঃ সোহাগ (২৫) গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে একই গ্রামের একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (বুদ্ধি প্রতিবন্ধি) নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষন করে। বিভিন্ন সময়ে ধর্ষনের ফলে উক্ত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন(বুদ্ধি প্রতিবন্ধি) নারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। উক্ত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (বুদ্ধি প্রতিবন্ধি)নারীর পরিবারের সদস্য ভাই রয়েছে একজন।
ভিকটিমের গর্ভবতী হওয়ার বিষয়ে তার পরিবারের সদস্যরা ভিকটিমকে জিজ্ঞাসা করলে মোঃ সোহাগ (২৫) তাকে বিভিন্ন সময়ে ছাদের উপরে নিয়ে খারাপ কাজ করে এবং তাকে পা ধরলেও সে কথা না শুনে তাকে জড়িয়ে ধরে বলে জানায়।পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা উক্ত বিষয়ে ধর্ষক মোঃ সোহাগ (২৫) ও তার পরিবারে সাথে যোগাযোগ করলে তারা বিষয়টি আমলে না নিয়ে বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এবং এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় না নেওয়ার জন্য নানাবিধ হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। তাদের ভয়-ভীতি ও হুমকি ধামকি এবং সামাজিক লোক-লজ্জার ভয়ে ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি কারো কাছে প্রকাশ করেনি এবং আইনের আশ্রয় নেয়নি।
এক পর্যায়ে চলতি মাসের ১১ জুলাই ভিকটিম একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে। ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় নিরুপায় হয়ে ভিকটিমের পরিবার এ বিষয়টি নিয়ে শনিবার ২৪ জুলাই ২০২১ ইং তারিখে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এর নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিক ঘটনার সত্যতা যাছাইয়ে কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল একই দিন সন্ধ্যায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে দেবিদ্বার থানার বারেরা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মোঃ সোহাগ (২৫) কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামী’কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন নারী(বুদ্ধি প্রতিবন্ধি)কে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষন এবং তার ধর্ষনের ফলে উক্ত নারী গর্ভবতী হওয়া ও সন্তান প্রসবের বিষয়টি স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে র্যাব সদস্যরা।