কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহের সময় স্থানীয় এক সাংবাদিককে মারধর ও শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের এক ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে।
সোমবার ৫ জুলাই বেলা ৩টার দিকে ওই ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার হোসেন,ঘটনার শিকার সাংবাদিক অমিত মজুমদার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের কুমিল্লা সংবাদদাতা,এ ছাড়া জাগো কুমিল্লা নামে একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক।
সাংবাদিক অমিত নাগরিক খবরকে জানান, সোমবার বেলা ৩টার দিকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (কুমেকে) করোনা চিকিৎসার ও রোগীর সার্বিক বিষয় নিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন। করোনা ওর্য়াডে প্রবেশের আগে তিনি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে যান,তবে করোনা ইউনিটের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে চাইলে ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার তাকে গালিগালাজ শুরু করেন।
এক পর্যায়ে তাকে চড় থাপ্পর মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় উপস্থিত আনসার সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন,এ বিষয়ে ওয়ার্ড মাস্টার আক্তারের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন,
তবে ঘটনার সময় ধারণ করা ভিডিওতে আক্তারকে ওই সাংবাদিকের উদ্দেশে গালাগাল এবং বারবার তাকে মারতে উদ্যত হতে দেখা গেছে,এক পর্যায়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতেও দেখা যায়,
ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রেজাউল করিম,তিনি বলেন এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন,বিষয়টি দুঃখজনক,তবে করোনা ইউনিটের ছবি সংগ্রহ করার আগে স্বাস্থ্য বিভাগের রুল ফলো করা উচিত ছিল।
কিন্তু হুট করে সাংবাদিককে মারধর বা লাঞ্ছনার ঘটনাও ঠিক হয়নি। এটা মেডিক্যালের বিষয় আমার কাছে বিষয়টি আসলে আমি তা খতিয়ে দেখব। সাংবাদিক অমিতকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানান জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল নাগরিক খবরের সম্পাদক মো: ইলিয়াস সবুজসহ নাগরিক খবর পরিবার, এছাড়াও তীব্র প্রতিবাদ জানান, কুমিল্লা সিটি প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকগণসহ কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকগণ উক্ত ঘটনার তীব্র জানিয়ে দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি কামনা করা হয়।