কুমিল্লা মহানগরীর দীর্ঘদিন ধরে অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশনের অভাবে প্রতিবছর বর্ষায় নগরীর বহুস্থান পানিতে তলিয়ে যায়। আর এই সমস্যা সমাধানে জাপানি উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিগত ২০১৬ সালে ড্রেন নির্মাণের ব্যাপক মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে। মাইলের পর মাইল বক্সড্রেন নির্মাণও হয়েছে।
কিন্তু জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলেনি। কারণ এখনো শেষ হয়নি বেশ কিছু স্থানে ড্রেন নির্মাণের কাজ। এই যখন অবস্থা তখন মূল প্রকল্পের মেয়াদ শেষে দুই দফা মেয়াদ বাড়ানোর সর্বশেষ সময় ৩০ জুনও শেষ হলো।
তবে এখনো নগরীর রেসকোর্স, বাদশামিয়া বাজার, শাসনগাছা, নজরুল অ্যাভিনিউ রানীরবাজার কোটবাড়ী বিশ্বরোড, নন্দনপুর, চাঙ্গীনি হয়ে পল্লি উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) পর্যন্ত নির্মিত ড্রেনের সমাপ্তি বাকি রয়েছে। কোথাও কোথাও অসচেতন নগরবাসী পরিত্যক্ত ময়লা-আবর্জনা ফেলে ড্রেন বন্ধ করায় পানি নিষ্কাশনে কোনো কাজই আসছে না ড্রেনগুলো। অসমাপ্ত ড্রেনগুলোর পানি নিষ্কাশন স্বাভাবিকভাবে না হওয়ায় কোনো কোনো স্থানে উলটো রাস্তার ওপর উপচে পড়ছে পয়োনিষ্কাশনের পানি।
বাসাবাড়ি, দোকানপাট, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ বেড়েছে নগরবাসীর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় কবে নাগাদ ড্রেনগুলো নির্মাণ বা সংস্কার কাজ শেষ হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফলে সুষ্ঠু তদারকির অভাবে জাপানি উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়েও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি না পাওয়ায় নগরবাসী হতাশ হয়ে পড়েছে।