ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় দুই জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুন) ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহসিন উদ্দিন ফকির মামলাটি করেন।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা দুজন হলেন- মো: শহিদুল ইসলাম (৪৫), পিতা মৃত আ: মজিদ মোল্লা, বাড়ী উপজেলার আলগী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে, অন্যজন হচ্ছে মনিরুল হক মোল্লা (৬০) পিতা মৃত আ: হক মোল্লা, বাড়ী পৌর সদরের কাপুড়িয়া সদরদী গ্রামে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন আসামি শহিদুল ইসলাম বাদীর অফিস কক্ষে ঢুকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বাদী ডিএসএফ এর মাতৃ স্বাস্থ্য ভাউচারের স্কীমের টাকা আত্মসাৎ করেছে মর্মে জেনে বাদীর নিকট দশ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে।
মোহসিন তাকে জানায় যে, আমাদের কাছে কোনো নগদ টাকা আসে না। আমরা কখনও নগদ টাকা উত্তোলন করি না এবং রোগীদেরকেও কোনো নগদ টাকা দেই না। আমরা শুধু রোগীদের নাম ও মোবাইল নম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করি। রোগীদের ডিএসএফ এর টাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের রকেট একাউন্টে পৌঁছে যায়।
এই কথা শুনে শহিদুল ইসলাম বাদীর চাকরি থেকে বাদ দিবে বলে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায়, ফেসবুকে বাদীর নামে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা রিপোর্ট করার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার অফিস থেকে বের হয়ে যায়।
এরপর বাদী ২৪ জুন দুপুরে তার ফেসবুক একাউন্ট থেকে এমডি শহিদুল নামে ফেসবুক একাউন্টে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ শিরোনামে ফেসবুকে পোষ্ট করে। ভাঙ্গা হাসপাতালে গরীব গর্ভবতী মায়েদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৩ জুন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন মানহানিকর সংবাদ পোষ্ট করে।
এছাড়াও মনিরুল হক মোল্লার নামের ফেসবুক আইডি থেকে বাদীর ছবিসহ ‘অবাক কাণ্ড’ দুর্নীতির পাগলা ঘোড়া, ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা ডা. মহসিন ফকির শিরোনামে ২৪ জুন ফেসবুকে একটি পোষ্ট করে যে সম্পূর্ণ আক্রমণাত্মক। সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন এবং বাদীর মানসম্মান হানীকর।
ওই ফেসবুক আইডিধারী সহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিন জন পরস্পর যোগসাজশে বাদীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, ভিত্তিহীন পোষ্ট ও সংবাদ পরিবেশনের কারণে বাদী সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন এবং তার মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
পরে মোহসিন তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে শহিদুল ইসলাম ও মনিরুল হক মোল্লা সহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮, চাঁদা দাবি, আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও সহযোগিতার অপরাধ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..