করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে আলাদা করে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমিকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শক্রবার (২৪ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলে, দীর্ঘদিন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে আমরা টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তবু অনেকেই শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই, সবার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন করে চিন্তা করতে হচ্ছে আমাদের।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান খোলার সঙ্গে-সঙ্গে শিক্ষার্থীরা যেন দ্রুত সিলেবাস শেষ করতে পারে, সেজন্য বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে। শ্রেণিভিত্তিক মৌলিক সক্ষমতা বা কোর কম্পিটেন্ট অর্জনে বিষয় চিহ্নিত করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করার জন্য জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজও শুরু হয়েছে। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমিকেও এই বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সাধারণ ছুটি শেষ হলে ওই সিলেবাস শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নেয়া হতে পারে।