রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর।
অধিদফতর সদরের উপ-পরিচালক (উন্নয়ন) নূর হাসান আহমেদকে প্রধান করে এ কমিটি করা হয়।
আজ সোমবার (৭ জুন) সকালে ঢাকা বিভাগ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন থেকে চার কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবেন।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, কী কারণে আগুনের সূত্রপাত, তা আমরা তদন্ত করে দেখব। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কেমন তা তদন্তে উঠে আসবে। এখানে কারও গাফিলতি রয়েছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা হবে।
তবে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এই বস্তি সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এখানে অবৈধ গ্যাস ও বিদুৎ সংযোগও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- গ্যাস বা বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত।’
এর আগে সোমবার ভোর ৪টার দিকে সাততলা বস্তিটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে পুরো বস্তিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রচেষ্টায় প্রায় তিন ঘণ্টা পর সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরও ১৪টি ইউনিট সেখানে যোগ দেয়। এছাড়া পুলিশ, র্যাব ও স্থানীয় বাসিন্দারা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বস্তির বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, বস্তিজুড়ে কাঠ ও টিনশেডের ঘর। পুরো বস্তিতে প্রায় দুই হাজার ঘর রয়েছে। এর অর্ধেকই পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।