রাজধানীর শনিরআখড়া এলাকায় এক কিশোরকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় কিশোরগ্যাংয়ের ছয় সদস্যকে আটক করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের সড়ক থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলো- তানজিল শেখ, মো. শাহরিয়ার ইসলাম শুভ, মো. শাহরিয়ার নাফিজ জয়, মো. হাবিবুর রহমান, মো. বাবুল হোসেন টুটুল ও মো. মাহমুদ। তারা সকলেই রাজধানীর শনিরআখড়া এলাকায় বাস করে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে রাজধানীর কদমতলী থানার শনিরআখড়া এলাকায় বর্ণমালা স্কুলের গলিতে সিগারেট নিয়ে জুনিয়র-সিনিয়র দ্বন্দ্বে ইয়াসিন আরাফা সায়েমের সঙ্গে তাদের মারামারি হয়। একপর্যায়ে মারা যায় সায়েম। সায়েম কদমতলী থানার আল ইসলামিয়া মসজিদের পাশে বাপ্পীর বাড়িতে ভাড়া থাকত। সে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার ১২ নম্বর কুতুবপুর গ্রামের আব্দুল আলীর সন্তান।
পুলিশ আরও জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে টহলরত পুলিশের চোখে পড়ে ছয় কিশোর। এ সময় তাদের শরীরে রক্তমাখা পোশাক দেখতে পায় পুলিশ। সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াসিন আরাফাত সায়েম নামে এক কিশোরের সঙ্গে তাদের মারামারি হয় বলে জানায় কিশোররা। পরে কিশোর গ্যাংটি জানতে পারে সায়েম মারা গেছে। এ খবরে তারা মাওয়া হয়ে শরীয়তপুরের দিকে পালানোর চেষ্টা করছিল। এ ব্যাপারে কদমতলী থানায় খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাদেরকে আটক রাখা হয়। পরে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, কদমতলী থানা এলাকায় ইয়াসিন আরাফাত সায়েম নামে এক কিশোর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৬ কিশোরকে আটক করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।