নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যমান ড্রেজারগুলোর ড্রেজিং কার্যক্রম (ড্রেজিং এর পরিমাণ, সময় ও স্থান) মনিটরিং করার জন্য ‘রিয়েল টাইম ড্রেজ মনিটরিং সিস্টেম’ চালু করতে যাচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এ সিস্টেমটি (একটি ড্রেজার বেজ স্টেশনসহ পাঁচটি ড্রেজারে) পুরোদমে চালু হবে। এর ফলে ড্রেজিং এর ক্ষেত্রে বিশেষ করে পানির নিচে কী করা হচ্ছে, কতটুকু ড্রেজিং হচ্ছে সে বিষয়গুলোর স্বচ্ছতা প্রকাশ পাবে। ঘণ্টা, দিন, প্রশস্ততা, গভীরতা ও অ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী ড্রেজিং হচ্ছে কিনা তা সহজে জানা যাবে। এর ফলে ড্রেজারের বিলিং সিস্টেম আরও সহজ হবে।
সোমবার (২০ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং সংস্থা প্রধান ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ। সভায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঢাকার বাইরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে আলোচনা করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে নৌপথ সচল রেখে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় লাইফলাইন হিসেবে কাজ করেছে। নৌপথ সচল রাখতে যা যা করণীয় সব কিছুই করা হবে। করোনাকে মানিয়ে চলতে হবে, প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে এগিয়ে যেতে হবে। ড্রেজিংসহ অন্যান্য কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্পন্ন করতে হবে।
উল্লেখ্য, পরীক্ষামূলকভাবে বিআইডব্লিউটিএ’র পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে রিয়েল টাইম ড্রেজ মনিটরিং সিস্টেমটি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে অনলাইনে সরাসরি মনিটরিং করা হয়। প্রথম পর্যায়ে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ড্রেজার বেইজ স্টেশনসহ পাঁচটি ড্রেজারে এ সিস্টেম চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে বিআইডব্লিউটিএ’র মোট ৪৫টি ড্রেজারে এ সিস্টেম চালু করা হবে। শিমুলিয়াঘাটে ড্রেজার বেইজ স্টেশনসহ পাঁচটি ড্রেজারে এ সিস্টেম চালু করতে খরচ হচ্ছে দু’কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৫০ টাকা। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ইনোভেশন ফান্ড থেকে এ খরচ বহন করা হচ্ছে। আমেরিকান কোম্পানি ‘ট্রিমবল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কন্সট্রাকশন’ এ কাজটি করছে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্পের জন্য এক হাজার ৮১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।