ফরিদপুরে পুলিশি বাধায় শহর আওয়ামী লীগের সভা পণ্ড হয়ে গেছে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ সভাটি করতে দেয়নি। ফলে সভা না করেই নেতাদের ফিরে যেতে হয়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, শহর আওয়ামী লীগের এ সভায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের আমন্ত্রণ করা হয়নি। এ কারণে ঝামেলার শঙ্কায় সভাটি করতে দেওয়া হয়নি।
শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মাহাতাব আলী বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শহরের থানা রোডের জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ সভা আহ্বান করা হয়। এ সভার কথা আগেই জেলা কমিটির সভাপতিকে জানানো হয়েছিল। সভায় ফরিদপুর পৌরসভার ২৭টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হয়েছিলেন। সভায় প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে সাহায্য দেওয়ার জন্য ৬০ জনের একটি তালিকা প্রণয়নের কাজ করার কথা ছিল। পাশাপাশি এ উপলক্ষে ইফতার পার্টিরও আয়োজন করা হয়।
মাহাতাব আলী বলেন, ‘বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আমরা যখন সভার কাজ শুরু করব, তখন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হাজির হয়ে সভাটি বন্ধ করে দিতে বলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় পুলিশের সঙ্গে শহর আওয়ামী লীগ নেতাদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই সভার সভাপতি শেখ মাহাতাব আলী ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে বলেন, পরে এ সভা পুনরায় আয়োজন করা হবে। আজ পুলিশের বাধার কারণে সভা শেষ করা গেল না। পরে শেখ মাহাতাব আলী ও মনিরুজ্জামান সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘শহর আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। এ পর্যায়ে এক পক্ষ সভা করলে অন্য পক্ষ সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া আগামী ১ মে জেলা আওয়ামী লীগের সভা আহ্বান করা হয়েছে। আমরা চাইনি, তার আগে এ রকম কোনো সভা বা বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হোক। এ জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন।’
এ জাতীয় আরো খবর..