নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার একটি ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আলেয়া বেগম (৪০) মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মৃত আলেয়া বেগমের স্বামী হাবিবুর রহমান ও শাশুড়ি সামান্তা বেগম। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানিয়েছেন, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা বলেন, বিস্ফোরণে দগ্ধ একজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। লাশ দাফনের জন্য পরিবারকে সরকারিভাবে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
দগ্ধ তাবাসুম মীমের খালুশ্বশুর মনতাজ মিয়া বলেন, বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলেয়া বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আলেয়া বেগমের স্বামী হাবিবর রহমানের ৮৫ শতাংশ ও শাশুড়ি সামান্তা বেগমের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া সামিউলের শরীরের ১০ শতাংশ, তাবাসসুম মীমের শরীরের ২৫ শতাংশ, মীমের ৩ মাস বয়সী ছেলে মাহিরের ২০ শতাংশ, লিমনের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁরা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে আলেয়া বেগমের মৃত্যু হয়েছে। অন্যরা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। মৃত নারীর লাশ বার্ন ইউনিটের মর্গে রাখা হয়েছে। স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
গত শুক্রবার ভোরে শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার তিনতলা ভবনের ফ্ল্যাটবাড়িতে গ্যাসের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে এক শিশুসহ দুটি পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে শিশুসহ সাতজনকে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।