আপডেট:
(রাজধানীর আরমানিটোলায় ছয়তলা আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের তিন কর্মীসহ অন্তত ২১ জন।আহতদের মিটফোর্ড ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ জন শিশু, ৫ জন নারী, ১৪ জন পুরুষ। এদের মধ্যে দুইজন অগ্নিদগ্ধ। চারজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলছেন চিকিৎসক। ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে)
রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় একটি আবাসিক ভবনের (হাজী মুসা ম্যানসন) নিচতলায় রাসায়নিক গুদামে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সেহরির সময় রাত ৩টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনায় দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন ভবনটির নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। আরেকজন নারী।অগ্নিকাণ্ডে ওই ভবনের ছাদে আটকা পড়েন ভবনের বাসিন্দারা। তাদেরকে জানালা ও বারান্দার গ্রিল কেটে বের করে এনেছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের তিনকর্মীসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে মিটফোর্ট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নতুন করে হতাহত বাড়ার আর শঙ্কা নেই।
প্রত্যক্ষদর্শী এক বাসিন্দা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে রাসায়নিক গুদামে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।
পুরান ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজের পাশে আরমানিটোলায় ছয়তলা ভবনটিতে নিচতলায় কেমিকেলের গোডাউন ও কয়েকটি দোকান রয়েছে এবং দোতলা থেকে পাঁচতালা পর্যন্ত লোকজন বসবাস করে।