দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতে নিয়ে আসা হবে গরিব মানুষদের। আগামী ২০২১–২২ অর্থবছরের বাজেটটি সেভাবেই করা হবে। আগামী বাজেটে গরিবদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাঁদের জীবন-জীবিকার জন্য জায়গা করে দেওয়া হবে।
আজ বুধবার ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। তবে যথাযথ তথ্যভান্ডার না থাকায় গরিবদের মূলস্রোতে কীভাবে আনা হবে, তার বিশদ ব্যাখ্যা দেননি আর অর্থমন্ত্রী।
দেশে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। দুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জরিপে ওঠে আসে যে নতুন করে গরিব হয়েছেন দুই কোটির বেশি মানুষ। সরকারের চিন্তা কী—এটা ছিল প্রশ্ন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গরিবদের গরিব থেকে বের করে নিয়ে আসা। যাঁরা অতিরিক্ত গরিব আছেন, তাঁরা গরিব হবেন এবং যাঁরা গরিব আছেন তাঁদের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসব। সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দুই গবেষণা সংস্থার গবেষণা তথ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যায়ন করবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
গত বছর ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার করে টাকা দেওয়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, ভালো তথ্যভান্ডার না থাকায় ৩৫ লাখ মানুষকে তা দেওয়া গেছে। এবারও দেওয়া হবে আড়াই হাজার করে টাকা। কীভাবে দেওয়া হবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের চিন্তা ছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সরাসরি টাকাটা পৌঁছানো। তাদের তথ্যভান্ডার করতে একটু জটিলতা হয়। এটা হয়ে গেছে প্রায়। কাজ চলছে। এখন থেকে আর সমস্যা হবে না, অর্থাৎ কম সময়ে বেশি কাজ করা যাবে। কবে থেকে দেওয়া শুরু হবে, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই।
কোভিড–১৯–এর টিকার সংকট রয়েছে বলে গণমাধ্যমে যেসব প্রতিবেদন এসেছে, আজকের বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে কিছু বলেছেন কি না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘১৩ হাজার ৮৮১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য এসেনসিয়াল ড্রাগস থেকে ওষুধ কেনার একটি প্রস্তাব ছিল। এটি অনুমোদিত হয়েছে। এর বাইরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি।’