কুমিল্লা দেবীদ্বারে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে দু্ই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়।এ ঘটনায় আহত সুরুজ মিয়া নামের একজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৫ এপ্রিল বিকেল আনুমানিক ৫ টার সময় দেবীদ্বার উপজেলার তুলাগাঁও গ্রামের মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দেবীদ্বার উপজেলার তুলাগাঁও গ্রামের মৃত হাছন আলীর ছেলে সুরুজ মিয়ার সাথে একই গ্রামের চাচাতো ভাই লাল মিয়ার ছেলে মো: শামছু মিয়ার মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মনমালিন্য হয়েছিল।একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে একটি পুকুরের লিজের টাকার বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি ও কথা কাটাকাটি হয়। এ সময়ে ক্ষিপ্ত হয়ে শামছু মিয়া ও তার ছেলে রুহুল আমিন তার দুইবন্ধুকে নিয়ে সুরুজ মিয়াকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মাটিতে ফেলে কিল ঘুষি মেরে রক্তাক্ত ও জখম করলে সুরুজ মিয়ার পরিবারের লোকজনকে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও কিল ঘুষি মেরে আহত করে। এ সময় সুরুজ মিয়ার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আসতে দেখে তারা পালিয়ে যায়।স্থানীয়রা আহত সুরুজ মিয়াকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ দিকে হামলার বিষয়টিকে ধামাচাপাঁ দিতে প্রতিপক্ষ শামছু মিয়া দেবীদ্বার থানায় সুরুজ মিয়াসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।খবর পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে শনিবার ১৭ এপ্রিল শামছু মিয়াকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার জন্য তার বাগিনা ও ঘটনার স্বাক্ষী দেলোয়ার হোসেনকে থানায় পাঠায়।একপর্যায়ে হাসপাতাল থেকে আহত সুরুজ মিয়া হামলার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিককে জানায় এবং সত্য সংবাদ প্রকাশ করার জন্য নাগরিক খবরের নির্বাহী সম্পাদক মিজানুর রহমানকেও থানায় যাওয়ার অনুরোধ করে। পরে সাংবাদিক মিজানুর রহমান আহত সুরুজ মিয়ার বাগিনা দেলোয়ারের সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে অভিযোগের কপি হাতে নিয়ে সাংবাদিক মিজান ও মামলার স্বাক্ষী দেলোয়ার হোসেন থানার সামনে পৌছামাত্র প্রতিপক্ষ শামছু মিয়ার ভাড়াটে সন্ত্রাসী অন্তর ও আজিজ নামের দুই যুবক সঙ্গীয় কয়েকজনকে নিয়ে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। একপর্যায়ে সাংবাদিক মিজান ও দেলোয়ারের উপর হামলা চালানোর চেস্টা করলে তাৎক্ষনিক থানার এসআই ইকরাম হোসেন এগিয়ে এসে দুজনকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে রক্ষা করে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, মানুষ আইনের আশ্রয় গ্রহন করতে থানায় আসে , থানা হল মানুষের নিরাপত্তার জন্য সর্ব্বোচ নিরাপদ জায়গা। দেশের সকল নাগরিক তাদের সমস্যা নিয়ে নিরাপত্তা ও আইনী সহযোগিতার জন্য থানা পুলিশের নিকট দ্বারস্থ হোন। যেকোন ব্যক্তি আইনের আশ্রয় নিতে থানায় আসতে পারে। অথচ থানার সামনে একজন অভিযোগ দায়েরকারী ও সাংবাদিকের উপর হামলা চালানোর যে দু:সাহস দেখিয়েছে তাতে মানুষের নিরাপত্তা কোথায় থাকল। অদৃশ্য ক্ষমতার অধিকারী এসব ভাড়াটে সন্ত্রাসীদেরকে দমন করার দায়িত্ব কি পুলিশের নয় ?
পুলিশ বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসকে টিকিয়ে রাখতে দ্রুত এ সব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান সাংবাদিক মিজানুর রহমান।
এদিকে নাগরিক খবরের পক্ষ থেকে সাংবাদিকের উপর হামলার চেস্টার বিষয়ে জানতে চাইলে দেবীদ্বার থানার এসআই একরাম হোসেন বলেন, বাদী বিবাদী উভয় পক্ষ এক গ্রামের ও এক বাড়ির বাসিন্দা, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সংগঠিত হয়। উভয় পক্ষকের মধ্যে বিষয়টি মিমাংসার জন্য বলা হয়েছিল। সাংবাদিকের উপর ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হামলার চেস্টার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানায় প্রথমে অভিযোগ দায়েরকারী শামছু মিয়ার পক্ষের অনেক লোকজন থানায় আসছিল। এরা কোন পক্ষের লোকজন বা এদের বিষয়ে কোন স্পষ্ট পরিচয় জানেন না বলে তিনি থানার ওসির সাথে কথা বলতে অনুরোধ জানান। এদিকে সন্ত্রাসী অন্তর ও আজিজ বাহিনীর হুমকি দমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান। দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ– এর নিকট থানার সামনে সাংবাদিকের উপর হামলার চেস্টা বিষয়টি নিয়ে জানতে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি। বি/আ।