মামলার আসামি মাসুম তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও মামা শ্বশুর খালেদ হায়দার কাজল নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি। দুজনের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে মাসুম ও তার সহযোগি জাহিদুল ইসলাম জনি এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠে। গত ৬ দিন আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাসুম ও তার গাড়ির চালক জীবন মিলে জনি কামাল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙ্গে দেয়। জনি কামাল থানায় অভিযোগ দিলে প্রথমে মামলা না নিলেও ঘটনাটি মিডিয়ায় প্রকাশ পেলে ফতুল্লা থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।এতে ক্ষিপ্ত হয়েেমামলা তুলে নিতে মাসুম ও তার সহযোগি জনি আহত ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে তাকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসে।
জানা যায়, ছয় দিন আগে ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকায় মাসুমের প্রাইভেট কার রাস্তার উল্টোপথ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে যানজটের সৃষ্টি হয়। উল্টোপথে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার প্রতিবাদ করায় কামালের সঙ্গে প্রথমে বাগবিতন্ডা এবং পরে কামালকে হকিস্টিক ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা হয়। এর আগে মামলাটি নিতে অনীহা প্রকাশ করেছিল ফতুল্লা থানার পুলিশ। মামলায় সুইটি ইয়াসমিনের স্বামী মাসুম ছাড়াও গাড়ীর ড্রাইভার জীবন ও ফতুল্লার রেললাইন এলাকার তৈয়বুর রহমানের পুত্র দুর্ধর্ষ জাহিদুল ইসলাম জনিকে আসামী করা হয়। মামলা হওয়ার পরও আসামীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরে শনিবার দুপুরে আহত কামাল হোসেনের বাড়িতে মাসুমসহ সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়। তারা মামলা তুলে না নিলে বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়।
এদিকে, মামলাটি তুলে নিতে প্রভাবশালী মহল বাদী কামাল হোসেনকে চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কামাল হোসেন জানান, তারা আমার বাড়িতে এসে ভয়ভীতি দেখায়। আমি অসহায় মানুষ। কি করবো বুঝতাছি না।ভিকটিম আন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি আর্কষন করেন।