৭দিনের লকডাউন চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে সরকারের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফার এই লকডাউনকে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন বলা হলেও মাঠ পর্যায়ে গৃহিত পদক্ষেপ অনেকটাই ঢিলে ঢালা। লকডাউনে দেশের সব থেকে বড় শিল্পখাত আরএমজি সেক্টরকে রাখা হয়েছে লকডাউনের আওতামুক্ত। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকারখানা চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশের তৈরি পোশাক খাত আরএমজি সেক্টরে প্রায় ৬৫ লাখ শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। বৃহৎ এই শ্রমিক গোষ্টিকে লকডাউনের আওতামুক্ত রেখে লকডাউনের পালনের প্রস্তুতি তাই অনেকটাই ঢিলে ঢালা বলে মনে করছেন সচেতন মানুষ।
এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমনে সচেতনাবৃদ্ধি মার্চ মাসের শেষের দিকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরনের কর্মসূচী লক্ষ্য করা গেলেও এখন সেই কর্মসূচী অনেকাংশেই অব্যাহত নেই। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে নগরীতে অনেকেই মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন অব্যাহত রেখেছেন।
আর এসব ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি ভূমিকা রাখছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিনি টিম খোরশেদের মাধ্যমে করোনার সংক্রমনের শুরু থেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের সৎকার ও দাফনের কাজ করে আসছেন। এখন পর্যন্ত গত ১ বছরে টিম খোরশেদ এর পক্ষ থেকে ১৭৮জন মৃত ব্যক্তির সৎকার ও দাফন করা হয়েছে। সৎকার ও দাফনের পাশাপাশি টিম খোরশেদের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্লাজমা এবং অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে সেবা করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত টিমের পক্ষ থেকে ১১০জনকে প্লাজমা ডোনেশন এবং ২৮৭ জনকে অক্সিজেন সার্পোট দিয়ে আক্রান্তদের জীবন রক্ষায় সেবা প্রদান করেছেন।
তবে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের ব্যাপারে নগরীতে এখন পর্যন্ত কঠোর কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। তাই সাধারণ মানুষ ও সচেতন মহল মনে করছেন এবারের লকডাউনটিও সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন বলা হলেও আসলে ঢিলেঢালা ভাবেই হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় দফার ৭দিনের লকডাউন।