হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে অবরুদ্ধ থাকার পর মুক্ত হয়েছেন। মুক্তির পর তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে রিসোর্টের ৫ম তালার ৫০১ নম্বর কক্ষে অবরুদ্ধ থাকার পর সন্ধ্যায় তিনি মুক্ত হন। তার অবরুদ্ধের খবর পেয়ে হেফাজতকর্মীরা রিসোর্টতে জড় হন। এ সময় তিনি হেফাজতকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। পরবর্তীতে তিনি তার ফেরিফাইড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘আমি নিরাপদে আছি, পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক! কেউ কোনো গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না !
হোটেল থেকে সন্ধ্যায় মুক্ত হয়ে হেফাজত কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সাংবাদিক ও পুলিশ আমার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। কিছু বাইরের লোক খারাপ আচরণ করেছে। আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। আপনারা শান্ত থাকুন।’ মামুনুল হকের দাবি, সঙ্গে থাকা নারীর নাম আমিনা তৈয়ব। তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। আমিনাকে সঙ্গে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। এর আগে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম সংবাদমাধ্যমকে জানান, মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে নারীসহ অবস্থান করছেন- এমন খবরে স্থানীয় লোকজন রিসোর্ট ঘেরাও করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। মামুনুল হক সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করেছে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান মামুনুল হক সকালে রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষটিতে ওঠেন। দুপুর থেকেই এলাকায় চাউর হয় মামুনুল হক এক নারীসহ রিসোর্টে অবস্থান করছেন। এ খবরে এলাকার লোকজন রিসোর্টটি ঘেরাও করে। সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদ রহমান সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা মামুনুল হকের সঙ্গে কথা বলেছি। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।