1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২:০০ অপরাহ্ন

সমুদ্র বা‌ণি‌জ্যের জন‌্য গুরুত্বপুর্ণ “মিশ‌রের সু‌য়েজ খা‌ল”

ডেস্ক রি‌র্পোট:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১
  • ৪৯৫ বার পঠিত

মিশরের সিনাই উপদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত সুয়েজ খাল মনুষ্য নির্মিত একটি কৃত্রিম খাল। এই খালটি ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরের মাঝে সংযোগ স্থাপন করেছে। বিস্তীর্ন বালুর মরুভূমি খনন করে তৈরি করা হয়েছে বর্তমান বিশ্ববানিজ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ পথটি। ধারণা করা হয়, সমুদ্র বানিজ্যর প্রায় ১০ শতাংশ পরিচালিত হয় এই খাল দিয়ে।

এশিয়ার সাথে ইউরোপের যোগাযোগ সহজতর করার জন্যই খনন করা হয় সুয়েজ খাল। একসময় ইউরোপ থেকে এশিয়া যাওয়ার জন্য আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ ঘুরে যেতে হত। এতে করে সমুদ্রপথে প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার পথ বেশি পাড়ি দিতে হয় জাহাজগুলোতে। সুতরাং, বুঝাই যাচ্ছে এই খাল যাতায়াতের এক নতুন ‍দিগন্ত উন্মোচন করেছে। সময়ের সাথে সাথে পন্য পরিবহণেও বিপুল পরিমান অর্থের সঞ্চয় হয় এই পথ দিয়ে যাতায়াতের কারণে।

১৮৫৯ সালে শুরু হয়ে দশ বছর ধরে চলে এই খনন কাজ। পরিশেষে, ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয় এটি। শুরুতে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১৬৪ কিলোমিটার এবং গভীরতা ছিল ৮ মিটার । এরপর বেশ কিছু সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ করা হয়। ২০১০ সালের হিসাব মতে এর দৈর্ঘ্য ১৯০.৩ কিলোমিটার, গভীরতা ২৪ মিটার।

মিশর ১৯৫৬ সালে সুয়েল খালকে জাতীয়করণ করে। এর মালিকানা ও পরিচালনার দায়িত্ব মিসরের সুয়েজ ক্যানেল অথরিটির ওপর ন্যাস্ত। ‌আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী, সুয়েজ খাল শান্তিকালীন অথবা যুদ্ধকালীন সব সময়েই যে কোন দেশের পতাকাবাহী বাণিজ্যিক বা যুদ্ধ জাহাজের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সুয়েজ খালে আটকে পড়া কনটেইনারবাহী জাহাজ ‘এভার গ্রিণ’ এর কারণে এটি বিশ্ববাসীর কাছে আবারও আলোচনায় আসে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com