কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রোকন উদ্দিনের ওপর গাড়ি তুলে দেওয়া ও দা নিয়ে নাচানাচি ও হত্যাচেস্টায় মামলায় গ্রেফতার হওয়ার অভিযোগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশ ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন-১ শাখার উপসচিব নুমেরী জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু। তিনি বলেন, সাইফুল বিন জলিলকে মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িকভাবে কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার একটি চিঠি নগর ভবনে আসে। পরে তা দেখে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত হন
কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিল ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি ও ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে টানা দুবার বিএনপির সমর্থন দিয়ে কাউন্সিলর হন। তাঁর মা মনোয়ারা বেগম জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কুমিল্লার সদস্য ও কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সাবেক সহসভাপতি ছিলেন। সাইফুল বিন জলিলের বাবা আবদুল জলিল ১৯৭৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮২ সালের ১৫ মে পর্যন্ত কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান (বর্তমানে মেয়র) ও কুমিল্লা শহর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল হকের (সাক্কু) ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ১৯ মার্চ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটায় কুমিল্লা ছাতিপট্টি অজিত গুহ মহাবিদ্যালয় এলাকা দিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রোকন উদ্দিনের পায়ের ওপর গাড়ি তুলে দেন কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিল। এতে রোকনের দুই পা থেঁতলে যায়। বর্তমানে রোকন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরপর পুলিশ নগরের তেলিকোনা–সংলগ্ন কাসারিপট্টি এলাকা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাউন্সিলর সাইফুলকে আটক করতে যায়। এ সময় সাইফুল তাঁর আস্তানা থেকে দা হাতে নিয়ে বের হন। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁকে ধরতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়। সেখানে জনতার উপস্থিতিতে পুলিশের সঙ্গে কিলঘুষি হয়। সাইফুল দা নিয়ে নাচানাচি করেন। এ–সম্পর্কিত একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।