কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিলের বিরুদ্ধে মহানগর যুবলীগ নেতা রোকন উদ্দিন রুকনকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পরে গাড়ী নিয়ে জলিল নগরীর চকবাজার কাশারিপট্রি নিজের মালিকাধীন পেট্রোল পাম্পে দুই হাতে দুটি রামদা (দেশীয় অস্ত্র) নিয়ে নাচানাচি করেন। তার এই নাচের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
মহানগর যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন। অপরদিকে কাউন্সিলের পরিবারের দাবি, সাইফুল মানসিক সমস্যার কারণেই এমন আচরণ করছেন।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেলে মহানগর যুবলীগের সিনিয়র সদস্য রোকন উদ্দিন ও নেতাকর্মীদের উপর গাড়ি তুলে দিয়ে নিজের পেট্রোল পাম্পে ফিরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে উল্লাস করেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিল।
হাসপাতাল থেকে আহত রোকনের অভিযোগ, সম্প্রতি কুমিল্লা চকবাজার বাস স্ট্যান্ডের কমিটি থেকে বাদ পড়েন কাউন্সিলর সাইফুল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে কমিটির অনেককেই মারধর করেন তিনি। এসব অবৈধ কাজে বাধা দেয়ার কারণেই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়ি চাপা দেয় সাইফুল।
কুমিল্লা মহানগর যুবলীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য রোকন উদ্দিন বলেন, সাইফুল বাসস্ট্যান্ড কমিটির যে ৫০-৬০ লাখ টাকা ছিলো, সে একাই ভোগ-দখল করেছে। সে অন্যান্যদেরও অস্ত্র নিয়ে তাড়া করে। স্থানীয় যুবলীগ নেতারাও সাইফুলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে, তদন্ত করে তার বিচার দাবি করেন। আর এ জন্য দলের উপর মহলের ইন্ধনকে দায়ী করলেন সিটি করপোরেশনের সিনিয়র নেতাকর্মীরা।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল সেলিম খান বলেন, এসব কাউন্সিলররা কারও না কারও নিয়ন্ত্রণে। এ কারণে তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে। কুমিল্লা মহানগর যুবলীগরে আহবায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শহীদ বলেন, চাঁদা না দেয়ায় বাসস্ট্যান্ডে সে ভাঙচুর করেছে। যারা পরিচালক তাদের বাড়ি ঘরও ভাঙচুর করেছে।
জানা যায়, ;সম্প্রতি কাউন্সিলর সাইফুল বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার পর থেকে অনেকটা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ দিকে রোকনের উপর হামলার ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হবার পর মূল অভিযুক্ত সাইফুলকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হক জানান, কাউন্সিলর সাইফুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন আহত যুবলীগ নেতা রোকন। পরে ওই মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।স:সস
এ জাতীয় আরো খবর..